সম্প্রতি নাসির-তামিমা বিয়ে নিয়ে তৈরি হয়েছে নতুন সমস্যা। নাসিরের স্ত্রী তামিমা তাম্মির এর আগেও বিয়ে হয়েছিল। সেই স্বামীকে ডিভোর্স না দিয়েই তিনি নাসিরকে বিয়ে করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।





ফলে নাসির-তামিমার বিয়ে ইসলামি শরীয়ত মতে বৈধ হয়েছে কি-না সেটা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। এদিকে দেশের বিশিষ্ট ইসলামিক স্কলার ও আস সুন্নাহ ফাউন্ডেশন এর চেয়ারম্যান শায়খ আহমাদুল্লাহ তার ইউটিউব চ্যানেল ও ফেসবুক পেজে একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন।





সেখানে তিনি ইসলামি শরীয়তের আলোকে বিষয়টি ব্যাখা করেছেন। তিনি বলেছেন, বর্তমান স্ত্রীর সঙ্গে পূর্বের স্বামীর যদি শরীয়তসম্মতভাবে ছাড়াছাড়ি না হয়ে থাকে, তাহলে কোনভাবেই অন্নের সাথে তার এই বিয়ে বৈধ নয়। তবে এর জন্য এখানে আমাদের দুটি বিষয় নিশ্চিত করতে হবে।





প্রথম বিষয় হলো, স্ত্রীর সাথে তার প্রথম স্বামীর ছাড়াছাড়িটা ইসলামী শরীয়ত সম্মতভাবে হয়েছে কি-না। আর ডিভোর্স লেটার পাঠানো এবং সেই ডিভোর্স লেটারটি ইসলামী শরীয়ত সম্মতভাবে বিয়ে বিচ্ছে’দ হওয়া পর্যন্ত পৌঁছেছে কি-না, এই বিষয়টি বিবেচনা করতে হবে।





আর দ্বিতীয় বিষয় হলো, যদি তার শরীয়ত সম্মতভাবে ছাড়াছাড়ি বা বিচ্ছে’দ হয়ে থাকে, তবুও তাকে তিন মাস অথবা তিন পিরিয়ডের সময় পর্যন্ত ইদ্দত পালন করতে হবে। সেটা হয়েছে কি-না নিশ্চিত করতে হবে।এই দুটি বিষয়ের কোন একটি বিষয় যদি অনুপস্থিত থাকে, তাহলে তার বিয়ে শুদ্ধ হবে না।





বরং এটি একটি অবৈধ বিয়ে। এখন তাদের জন্য করণীয় হলো, যদি তারা ঘর সংসার করতে চায়, তাহলে আমরা যে দুটি শর্তের কথা বলেছি-এই দুটি শর্ত মেনে তারপর তাদের বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হতে হবে। অন্যথায় এটি বিয়ে তো হবেই না বরং এটি যি’না-ব্য’ভিচার হিসেবে সাব্যস্ত হবে।




