তোমাকে বলছিলাম আমি দুই মাস পরে চলে আসবো তোমার জীবন থেকে। কিন্ত আমি চলে আসছিলাম আজ সকালে। তাও তুমি খেন্ত হয়ে থাকনি। তুমি অনিকাকে দিয়ে আব্বুর নাম্বারে কল করে বলিয়েছ তুমি আমাকে ছেড়ে দিছ আর আব্বু এই কথা শুনার সাথে সাথে আমাকে বাড়ীতে দেখছে। তখনি আব্বু স্টোকটা করে।





আমি যদি তখন না থাকতাম তাহলে আজ আব্বুকে বাচান যেতনা। রিয়াদ আমি তো তোমার জীবন থেকে চলে আসছিলাম। কিন্ত তারপর তুমি আমাকে শান্তিতে থাকতে দিলেনা। আজ যদি আব্বুর কিছু হয়ে যেত তাহলে তোমাকে আমি কোনদিন ক্ষমা করতে পারতাম না,,(জারা)





আমি: কিন্ত আমি তো অনিকা কে কল… তখনি জারা আমাকে থামিয়ে বলে,, জারা: থাক রিয়াদ আমি কোন কথা শুনতে চাইনা। তুমি এখান থেকে চলে যাও। আমি তোমার মুখটা দেখতে চাইনা। আমি: তুমি আমার কথাটা একবার শুনো প্লিজ,,, জারা: আমি জানি তুমি কি বলবে। তুমি বলবে অনিকাকে আমি কল করতে বলিনি। আমি জানিনা অনিকা যে তোমার আব্বুকে কল করছে, ইত্যাদি কিছু বলবে আমাকে বুজানোর জন্য। সুতরাং আমি তোমার কোন কথা বিশ্বাস করব না তুমি যেইদিন অনিকাকে আমার সামনে খাটের উপর নিয়া শুয়েছিলে সেইদিন বুজেছি আমার এই বাড়ীতে থাকাটা ঠিক হবেনা। তাই আমি চলে আসছি এখন তুমি মুক্ত । তোমার বুন্ধুরা তোমাকে নিয়ে হাসা হাসি করবেনা। তোমাকে নিয়ে মজা করবেনা এখন তুমি এখান থেকে যাও।





আমি: জারা এখন আমি তোমাকে যাই বলিনা কেন তুমি আমাকে বিশ্বাস করবেনা তবে একটা কথা আমার শুনো প্লিজ,, জারা: এখন আমার ভালো লাগছেনা তুমি যাও প্লিজ,,, আমি: ওকে চলে যাচ্ছি তবে তোমাকে একটা কথা বলে যাই তুমি যেইটা ভাবছ আমি সেইটা করিনি ঠিক আছে ভাল থেক,,,,। বাই বলে চলে আসলাম বাহিরে। হঠাত মনে পরে গেলো আম্মু যে বলে গেছে জারা কিছু খায়নি আমি কিছু খাবার কিনে দিয়ে যাই ওকে। একটা হোটেল থেকে একটা চিকেন ফ্রাই নিলাম জারার আবার চিকেন ফ্রাই অনেক পছন্দ করে। চিকেন ফ্রাইটা হাতে করে নিয়া গেলাম দেখি জারা ভিতরে বসে আছে আমাকে দেখে আসছে,,,





জারা: তুমি আবার আসছো কেন তোমাকে বলছি আমার সামনে না আসতে,,,? আমি: নাও ধরো,, জারা: কি আছে এইটাতে,,? আমি: চিকেন ফ্রাই তোমার পছন্দের খাবার,, জারা: আমি খাবনা,,, আমি: কি বললে তুমি খাবেনা এত কষ্ট করে কিনে আনলাম তোমার জন্য আর তুমি খাবেনা? জারার হাতটা দরে টেনে কাছে নিলাম একেবারে বুকের সাথে মিসিয়ে নিছি ওকে ও আমার দিকে চেয়ে আছে আমি ওরদিকে তাকিয়ে আছি চোখ দুটো অনেক কথা বলছে কিন্ত মুখে প্রকাশ করছেনা কেউ তখনি।





জারা: কি হচ্ছেটা কি? ছাড়ো। সবাই তাকিয়ে আছে ত,,, আমি: থাকুক তাতে আমার কি? তুমি খাবে কিনা বল,,? জারা: না খাবোনা। আমি: তবেরে বলে ওকে একটা ব্যাঞ্চের উপর নিয়ে বসালাম আর জোর করে খায়িয়ে দিলাম,, খাবার শেষে করে বসে আছি তখনি,,। জারা: শুন রিয়াদ আমার একটা কথা রাখবে,,? আমি: বল কি কথা,,? জারা: আজকের পর আর কোনদিন তুমি আমার সামনে এসনা প্লিজ। তুমি আমার এই অনুরোধ টা রেখ,,,।





আমি: অকে জারা তুমি যেহেতু চাওনা তোমার সামনে আসি, আজকের পর আর কোনদিন তোমার সামনে এসে দাড়াবনা তবে একটা কথা বলি ঐদিন খাঠের উপর
আমি অনিকাকে নিয়ে শুয়ে থাকিনি বরং তোমাকে দেখে অনিকা ইচ্ছে করে আমার বুকের উপর শুয়ে পরছিল,,, যাক জারা তুমি এখন আমার কোন কথা
বিশ্বাস করবেনা এইসব বলে কোন লাভ হবেনা ঠিক আছে ভালো থেক বাই বলে চলে আসলাম বাসায়,,,





আব্বু: রিয়াদ তুই চলে আসলি যে,,? আমি: ডাক্তার বলছে একজন থাকতে পারবে তাই জারাকে রেখে আমি চলে আসছি,, আব্বু: সবকিছু ঠিক আছে মেডিকেলে,,? আমি: হে ঠিক আছে বলে আমি অনিকার রুমে গেলাম। গিয়ে দেখি গান শুনছে আমাকে দেখে কাছে এসে জরিয়ে ধরছে,,,। অনিকা: রিয়াদ এতক্ষন কোথায় ছিলে তুমি,,? আমি: ছাড়ো অনিকা। তুমি জারার আব্বুর নাম্বারে কল করছো,,? অনিকা: হে করছি আর বলেছি তুমি জারাকে ছেড়ে দিছো।





আমি: ঠাসসসসসসসস। অনিকা: তুমি আমাকে চড় দিলে কেন,? আমি: আজ তোমার জন্য অনিকার আব্বু স্টোক করছে আজ। মরতে বসেছিলো লোকটা। যদি আজ মারা যেত তাহলে জারা আমাকে সারাটা জীবন দোষারুপ করত,, কি দরকার ছিল কল করার,,? জারাত এমনি চলে গেছিল,,? অনিকা: তার জন্য তুমি আমাকে চর মারবে,,,? আমি: শুধু চড় দিলাম আর কাল তুমি এই বাড়ী ছেড়ে চলে যাবে। তা না হলে…





তখনি,, ভাবি: না হলে কি করবে তুমি শুনি? আমি সব বলে দিব তোমার আব্বুর কাছে। তোমার সাহস দেখে বাচিনা। তুমি আমার বোনের গায়ে হাত উঠিয়েছ,,? আমি: তুমি কি বলবে যা বলার আগামিকাল সকালে আমি নিজে আব্বুকে সব বলে দিবো যদি অনিকা সকালবেলা না যায়।





এই বলে রুমে চলে আসলাম। রুমটা একদম শুণ্য শুণ্য লাগছে জারাকে আজ খুব মিস করছি। আমি কি জারাকে ভালোবেসে ফেলাম? ওর কথা গুলো খুব মনে পরছে কেন,,,, না আজ রুমে থাকা যাবেনা একটু ছাদ থেকে ঘুরে আসি,,,




