আপনার যেকোনো রোগ হওয়ার আগেই সেই রোগের প্রতিরো’ধক গড়ে তুলতে হবে সঠিক সময়ে। প্রকৃতিতেই এমন কিছু খাবার রয়েছে যেগুলো আপনার ক্যান্সারসহ নানা রোগের মহৌষধ। জেনে নিন সেই খাবারগুলো সম্পর্কে। আর বেঁচে থাকুন স্ত’ন ক্যান্সারের ঝুঁ’কি থেকে।





স্তন ক্যান্সার প্রতিরো’ধে ডালিম বিশেষ সহায়ক। ডালিমে রয়েছে পলিফেনল নামক এলাজিক অ্যাসিড এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান। এটি ক্যান্সারের বৃদ্ধি প্রতিরো’ধে সাহায্য করে। স্বাস্থ্য উপকারিতার জন্য এই ফলটি প্রতিদিন খাবার তালিকায় যোগ করুন।





এটি স্ত’ন ক্যান্সারের জন্য দায়ী ক্যান্সারের কোষের বিরু’দ্ধে প্রতিরো’ধ গড়ে তোলে। তিসিতে থাকা ওমেগা-থ্রি, লিগনান্স এবং আঁশ এই কোষের বিরু’দ্ধে প্রতিনিয়ত সংগ্রাম করে। তিসির বীজ, আস্ত তিসি বা তিসির তেল খাবারে অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে।





ব্রাজিল নাটস-এ রয়েছে উচ্চমাত্রায় সেলেনিয়াম, আঁশ এবং ফাইটোকেমিক্যাল। এই বাদাম রোগ প্রতিরো’ধ ক্ষমতা বাড়াতে, প্রদাহ এবং টিউমারের বৃদ্ধি কমাতে সাহায্য করে। রোজ একমুঠো ‘ব্রাজিল নাট’ খেলে বড় ধরনের উপকার পাবেন।





ক্যান্সারের বিরু’দ্ধে যু’দ্ধ করার উপাদান ‘অ্যালিয়াম’। এটি রসুনে উচ্চ মাত্রায় থাকে। রসুন ছাড়াও এই ধরনের অন্যান্য মসলা যেমন- পেঁয়াজ, পেঁয়াজজাতীয় গাছেও এই উপাদান থাকে।





এগুলো টিউমারের বৃদ্ধি রো’ধ ও কোলোরেক্টাল ও প্রোস্টেট ক্যান্সারের ঝুঁ’কি কমায়। প্রতিদিন সকালে একটি রসুন খেলে সারাজীবনের জন্য ক্যান্সার থেকে মুক্তি দিতে সাহায্য করে।





সবজি: গাড় সবুজ পাতার সবজি যেমন, পাতাকপি, পালংশাক ইত্যাদি স্তন ক্যান্সার প্রতিরো’ধের ‘ওয়ান স্টপ শপ’ হিসেবে বিবেচিত। এছাড়া দেহের জন্য প্রয়োজনীয় আঁশ, ভিটামিন বি, ফাইটোকেমিকল, ক্লোরোফিল ইত্যাদি মিলবে এ সবজিতে।





মাছ: স্যামন মাছে রয়েছে ওমেগা-থ্রি এবং ভিটামিন বি-টুয়েল্ভ, ভিটামিন ডি। এটি শরীরের পুষ্টি সরবারহ করে এবং কোষের বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে ক্যান্সার প্রতিরো’ধ করে।





ব্রোকলির কচিপাতা: ব্রোকলিতে রয়েছে উচ্চ মাত্রায় সালফোরোফেন এবং ইন্ডোলেস উপাদান যা স্ত’ন, মূত্রাশয়, লিম্ফোমা, প্রোস্টেট এবং ফুসফুস ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সারের কোষের বৃদ্ধিতে বাঁ’ধা দেয়।





টি: নিয়মিত গ্রিনটি খেলে স্ত’ন ক্যান্সারের ঝুঁ’কি কমে। গ্রিন টি’র ফাইটোকেমিকল নামক উপাদান শরীর সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
যে কোন মরিচেই আছে ফাইটোকেমিকেল যা ক্যান্সারের বিরু’দ্ধে কাজ করে। কাঁচামরিচ ক্লোরোফিলের ভালো উৎস যা অন্ত্রের ক্যান্সার প্রতিরো’ধ করে। আর লালমরিচে থাকে ক্যাপসাইসিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্যারোটেনোয়েডস।





হলুদে থাকে কারকিউমিন যা ক্যান্সারের বিরু’দ্ধে যু’দ্ধ করতে সহায়ক। এটি স্তন, গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল, ফুসফুস এবং ত্বকের ক্যান্সার প্রতিরো’ধে সাহায্য করে। এক চিমটি হলুদ অনেক কঠিন ক্যান্সারের কোষের বিরু’দ্ধেও কাজ করে। সূত্র: বোল্ডস্কাই